All Categories

About Us of Red Friday Limited

আসসালামু আলাইকুম, আমি শাহিনুর আলম শাহিন। একজন তরুণ উদ্যোক্তা আমার বাসা নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার শিবগঞ্জ গ্রামে। লেখা পড়া এবং চাকুরী জীবন অনেক জায়গায় কেটেছে। বর্তমানে আমি স্থায়ীভাবে নওগাঁ গ্রামেই বসবাস করছি।

প্রিয় জন্মভূমি লাল-সবুজের পতাকার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ। ‘ভালবাসি গ্রাম, ভালবাসি উত্তরগ্রাম’ ইউনিয়নের শিবগঞ্জ গ্রামে ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করি। গ্রাম আমাকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে, আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়, মনকে আন্দোলিত করে।
বিশেষ করে, প্রিয়জন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সংস্পর্শ ও সান্নিধ্য, তাঁদের সাথে মন খুলে আড্ডা মারা, গল্প করা এ যেন আমার জন্য দারুণ মজার ব্যাপার! এসব আড্ডার আসরে আমি হাটি-হাটি, পা-পা করে বেড়ে উঠেছি। স্কুলজীবন কেটেছে শিবগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়, জাহাঙ্গীরপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও শিবগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় (২০০৫ এস.এস. সি) এবং ২০০৯ সালে প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট” এ ইলেকট্রনিক্স বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা-ইন- ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করি। তারপর চাকুরীর পাশাপাশি ইভেনিং ইউনিভার্সিটি “ইউ.আই.টি.এস-গুলশান-ঢাকা” শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আইটি বিভাগে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং “পাঠশালা-সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট-ধানমন্ডি-ঢাকা” শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা-ইন-ফটোগ্রাফিতে পড়াশুনা করি। রাজশাহীতে পড়াশুনার সময় থেকে এবং ঢাকায় ইভিনিং এ পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিগত ৯ বছর চাকুরী করি। মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান হয়ে পড়াশুনার খরচ মেটানো এবং একই সাথে চাকুরী করা খুব সহজ ছিল না। পরিবারের কারনে ঢাকা থেকে ২০১৭ সালে নওগাঁতে চলে আসি। জীবনটাকে নতুন করে আবিষ্কার করার জন্য কখনো কখনো সব ছেড়েছুড়ে হারিয়ে যেতে হয়! তবে এখানেও আমার জন্য কিছু করা খুব সহজ ছিল না। হঠাৎ করে পরিবারের সিধান্তে একেবারে একটি অপরিচিত একটি মেয়েকে বিয়ে করি। শুরু হলো জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের।জীবন বইয়ের পাতা খুলতে না খুলতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের বছর শেষে নতুন অতিথি “দ্বীন” এর আগমন।

আলহামদুলিল্লাহ …., ‘দ্বীন’ আমার ছেলের নাম। পুরো নাম শাফি-আল-দ্বীন”। আমি বেশ ভাবে লক্ষ্য করছি এরপর থেকে জীবনের খুব দ্রত কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত-অপ্রত্যাশিত এবং মানসিক পরিবর্তন লক্ষ হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝে এগিয়ে যাওয়ার আশায় কঠোর পরিশ্রম, আর স্বপ্নকে বাস্তব হতে দেখার জন্য ব্যর্থতার পরও কাজ করে যাচ্ছিলাম। আমার বাবা-বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় এবং দ্বীনের জন্য নতুন কিছু করার আশায় আকাশ ছোয়া স্বপ্ন এ বুক বেধে ছুটে চলা আবার শুরু করলাম। প্রথমত আগের অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে গ্রামের দোকানে-দোকানে, হাটে-বাজারে ভাড়া করা অটো চার্জার গাড়ি করে বাবার তৈরী করা মাল বিক্রয় করতাম। অনেকবার নিরাশ হয়েছি কারন “ঘটনার চেয়ে রটনার রূপ অনেক বেশী বিচিত্র”। তারপরেও একা একা হেটেছি, ছুটে চলেছি দূরদুরান্তে।
যাইহোক, সকল কিছুর জন্য মহান আল্লাহ্‌ কাছে শুকরিয়া। কতটুকু সফল হতে পেয়েছি জানি না। তবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সততার সাথে চেষ্টা,পরিশ্রম করে যাচ্ছি এবং যাব, ইনশাআল্লাহ….।

 

এই কিছুদিন আগের কথা- একটি চাকুরী জন্য দিনের পর দিন একেবারে অপরিচিত একটি শহর ঢাকার অলিতে গলিতে কত ঘুরেছি, কতজনকে অনুরোধ করেছি তা উল্লেখ করা খুব কষ্টের। পরিচিত বলতে তেমন কেউ ছিলো না আমার ঢাকাতে। এক রকম রাগ করে বাড়ি থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স শেষ করার পর ঢাকায় চলে আসি মাত্র ২০০০টাকা পকেটে করে নিয়ে ২০০৯ সালে। ঢাকায় এসে কি করবো, কোথায় থাকবো, কি খাবো কিছুই ঠিক নেই…!

শুধু এতটুকু জানি কিছু দিনের জন্য 'রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট' থেকে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং করতে আসা কিছু ছোট ভাইদের সাথে ফার্মগেট ইন্দ্রিয়া রোডে থাকবো। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি সেই ছোট ভাইদের প্রতি। ছোট একটি বাসায় ২টি রুম একটা বাথরুম আর গাদাগাদি করে আমরা ১৩-১৪ জন ভাইবেরাদররা হেসে খেলে সময় কাটিয়েছি। নতুন পরিবেশে কষ্টের থেকে আনন্দঘন সময় ছিল বেশ। তবে চাকুরী খোঁজে পাওয়াটা ছিলো আকাশের চাঁদ পাওয়ার মতো, অনেক কষ্টের।

বিডিজবসের কৃতজ্ঞতায় অবশেষে একটি চাকুরী পেলাম ফেরিওয়ালা হয়ে বই সেল করা। মাত্র ২দিন কাজ করার পর ভাবলাম এস.ডি কেমিক্যাল কোম্পানীর ঈদুর ও তেলাপোকা মারার ঔষুধ দোকানে দোকানে ফেরী করে বিক্রয় করা অনেক ভালো। কয়েকমাস পর আবার একটি চাকরি হয় আইটি অফিসে। ভালোই…, আমি সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে লাইন ম্যানদের সাথে রাস্তায় রাস্তায়-বাসা বাড়িতে, অফিসে গিয়ে ইন্টারনেটের কাজ করেছি এবং সেখান থেকে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার পদে বড় বড় কয়েকটা কোম্পানীতে কাজ করেছি এবং পাশাপাশি ফটোগ্রাফি পেশাতেও কাজ করেছি।

নিজের সঙ্গে প্রতিদিন যুদ্ধ করে চলেছি যে যুদ্ধের নাম চাকরি খোঁজা। ‘যখন যা পেতাম, তা-ই করেছি। কারণ, আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইতাম। নিজের জীবনের কঠিন অভিজ্ঞতা গুলোকে আজ ছবির মত মনে হয়।
থাক সেসব কথা গল্পটা বড় না করে শেষ করার চেষ্টা করি। কারন জানি "বিনা পরিশ্রমে যা অর্জন করা যায় ,তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না" আবার বিনা পরিশ্রমে ভাল কিছু হয়ও না। তাই সে সবের জন্য আর কষ্ট মনে হয় না।

অতীত থেকে বর্তমানে একটু ফিরে আসি, এখন বর্ষাকাল মানেই যখন-তখন বৃষ্টি। এইতো সেদিন নিজের অফিসে বসে ঝুম বৃষ্টিতে 'ওগো বৃষ্টি আমার চোখের পাতা' গান শুনছি আর কফি খেতে খেতে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে তা উপভোগ করছিলাম। তখন হঠাৎ করে সেই পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাওয়ায় কখন যে নিজের দু'চোখ ভিজে গেছে তা কফির কাফে পড়াতে টের পেয়েছি।

একটি সময় ছিলো আমার জন্য একটি চাকুরি ব্যবস্থা করতে কত না কষ্ট করেছি। কত মানুষকে অনুরোধ করেছি! আহ্, আজ এই আমি আমার পরিবারের পাশে থেকে ৫৫ জন ছেলে এবং ১০৫ জন মেয়ে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি।

আলহামদুলিল্লাহ….,

শুধুমাত্র ১৬০জন মানুষের নয়, কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি সবাই দোয়া করবেন।

আমরা গ্রামীণ তৃণমূল বাজার থেকে শুরু করে 'রেড ফ্রাইডে' ব্র্যান্ডটিকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা ও ব্যস্তবায়নের চেষ্টা করছি।

কোম্পানির সংক্ষিপ্ত বিবরণ: "গুণমান, সততা এবং বিশ্বাসের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ" হল আমাদের একমাত্র সাফল্যের গল্প, যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি।

(আলহাজ্ব মোঃ মোতাহার হোসেন মিঞা) বাবার সৃষ্টি এস.ডি কেমিক্যাল কোম্পানি "ব্যান্ড নাম ওস্তাদ" । আলহামদুলিল্লাহ… পৃথিবীতে দ্বীন আসার মধ্যে দিয়ে বাবা-বড় ভাই আমাদের সম্মিলিত চেষ্টায় গড়ে উঠেছে এস.ডি এগ্রোভেট কোম্পানি যার ব্যান্ড নাম 'দ্বীন'। বর্তমানে বাজার বেশকিছু পুণ্য পোকা মাকড় দমনে বিষ ওস্তাদ এবং সার ও অনুখাদ্য দ্বীন নামে বাজারে খুব সমাধিত। তবে বর্তমানে রেড ফ্রাইডে লি: নামক ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এটি একটি চুক্তিভিত্তিক হালাল পন্তায় বহুমূখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেমন সার- কৃটনাশক, ফুড, ফল, চারা , গ্রামীণ খাবার, সেলুন, বুটিক বাড়ি, অর্গানিক ফল-সবজি এবং কৃষি-ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প) এ বিনিয়োগ করে অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়াকে পুঁজি করে, আমরা গর্বিতভাবে একের পর এক আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে যাচ্ছি।

আমাদের 'রেড ফ্রাইডে লি:' পরিবারের একটি চমৎকার অনুপ্রেরণামূলক উক্তি "Imagine. Create. Explore" । এই স্লোগান- দুর্বলকে যোগায় শক্তি, দিশেহারাকে দেখায় পথ, অন্ধকারে জ্বালায় আলোর মশাল। হতাশা, ব্যর্থতা, গ্লানির তিক্ত অনুভূতিগুলো যখন ঘিরে ধরে তখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সম্বল হয় একটু আশা, একটুখানি সম্ভাবনার হাতছানি। রেড ফ্রাইডে লিমিটেড কোম্পানি সম্ভাবনার আলো হয়ে চুক্তিভিত্তিক একটি হালাল পন্তায় বহুমূখী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
"আমাদের গুণমান, সততা এবং বিশ্বাসের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ" গ্রাহকদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক এবং অংশীদারিত্ব তৈরি করে। " জনাব শাহিনুর আলম শাহিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রেড ফ্রাইড লিমিটেড, জয়েন স্টক কোম্পানি মেসার্স এস.ডি কেমিক্যাল কোম্পানি, মেসার্স এস.ডি এগ্রোভেট, মেসার্স এস.ডি চক ফ্যাক্টরী, মেসার্স এস.ডি মেডিক্যাল ফার্মেসি প্রতিষ্ঠানগুলি পরিচালনা করে যাচ্ছি। আমাদের মার্কেটিং প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড নাম "ওস্তাদ ও দ্বীন" যা ট্রেড মার্ক দ্বারা নিবন্ধিত।
বর্তমানে আধুনিক কৃষি, নার্সারী, ফুল-ফল-সবজি, পোশাক ও সেলুন ব্যবসায় ভালো কোনো ব্র্যান্ডের অধীনে এ সমস্ত ধরণের ব্যবসা করার চেষ্টা করছি।

Shopping cart
Sign in

No account yet?

Menu
Home
0 items Cart
My account